বাগেরহাট জেলার আবাসন

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বাগেরহাট জেলার আবাসন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক জেলা বাগেরহাট বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। ষাটগম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলীর মাজার, সুন্দরবনসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান থাকায় প্রতি বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় এ জেলা। ফলে এখানে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ ও বিশ্রামাগার গড়ে উঠেছে, যা স্থানীয় জনগণ ও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাগেরহাট জেলার আবাসন

 

বাগেরহাট জেলার আবাসন সুবিধার সারসংক্ষেপ

বাগেরহাটে সরকারি সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের রেস্ট হাউজ, ডাক বাংলো এবং এনজিও পরিচালিত আবাসন কেন্দ্র রয়েছে। নিচে একটি সাজানো টেবিলে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য তুলে ধরা হলো—

ক্র. নং প্রতিষ্ঠানের নাম ভিআইপি সিট সংখ্যা সাধারণ সিট সংখ্যা মোট সিট সংখ্যা টেলিফোন নম্বর মন্তব্য
০১ সার্কিট হাউজ ১২ ১৪ তথ্য পাওয়া যায়নি এসি রুম – ৩টি
০২ ডাক বাংলো তথ্য পাওয়া যায়নি
০৩ ষাটগম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ রেস্ট হাউজ তথ্য পাওয়া যায়নি ডবল রুম
০৪ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রেস্ট হাউজ তথ্য পাওয়া যায়নি তথ্য পাওয়া যায়নি এসি রুম – ৩টি
০৫ সড়ক ও জনপথ বিভাগ তথ্য পাওয়া যায়নি তথ্য পাওয়া যায়নি
০৬ এল.জি.ই.ডি. রেস্ট হাউজ তথ্য পাওয়া যায়নি এসি রুম – ১টি
০৭ শাপলাফুল প্রকল্প গেস্ট হাউজ তথ্য নেই ২ (ডবল) তথ্য পাওয়া যায়নি
০৮ গণপূর্ত বিভাগ তথ্য নেই তথ্য পাওয়া যায়নি
০৯ সিভিল সার্জন অফিস (স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) তথ্য পাওয়া যায়নি
১০ পানি উন্নয়ন বোর্ড তথ্য নেই তথ্য পাওয়া যায়নি
১১ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তথ্য নেই তথ্য পাওয়া যায়নি
১২ কোডেক গেস্ট হাউজ ৩০ ৩৮ তথ্য পাওয়া যায়নি এসি রুম – ৮টি

 

 

আবাসনের মান ও বৈশিষ্ট্য

  • সরকারি সার্কিট হাউজ ডাক বাংলো – প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত হলেও প্রয়োজনে সাধারণ জনগণও অনুমতি সাপেক্ষে থাকতে পারেন।
  • বিভিন্ন দপ্তরের রেস্ট হাউজ (পল্লী বিদ্যুৎ, সওজ, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদি) – সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের পাশাপাশি অতিথিদের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
  • কোডেক (CODEC) গেস্ট হাউজ – উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত এই গেস্ট হাউজে সর্বাধিক আসন রয়েছে (৩৮টি), যেখানে এসি সুবিধাও বিদ্যমান।
  • প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের রেস্ট হাউজ – মূলত ষাটগম্বুজ মসজিদ দর্শনার্থী ও গবেষকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
  • শাপলাফুল প্রকল্প যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র – সীমিত আবাসন সুবিধা থাকলেও স্থানীয় কার্যক্রমের সাথে জড়িত অতিথিদের জন্য ব্যবহৃত হয়।

 

পর্যটনের সাথে আবাসনের সম্পর্ক

বাগেরহাটে পর্যটনকেন্দ্রিক আবাসন সুবিধা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ষাটগম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলীর মাজার, সুন্দরবন ভ্রমণ অথবা মোংলা বন্দর দর্শনের জন্য আসেন। এসব পর্যটকের জন্য সরকারি আবাসনের পাশাপাশি বেসরকারি হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজও গড়ে উঠেছে।

বাগেরহাট জেলার আবাসন ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় উদ্যোগ মিলিয়ে একটি কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান মূলত প্রশাসনিক ব্যবহারের জন্য, তবুও পর্যটন ও সাধারণ ভ্রমণকারীদের চাহিদা মেটাতেও এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে আধুনিক হোটেল, রিসোর্ট ও অনলাইন বুকিং সেবার প্রসারের মাধ্যমে বাগেরহাটের পর্যটন ও আবাসন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যায়।

১ thought on “বাগেরহাট জেলার আবাসন”

Leave a Comment